Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

১।       ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ- ক)  মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প(৬৪জেলা)‘র পটভুমিঃ- বাংলাদেমের সংবিধানে সকল নাগরিকের শিক্ষার সুযোগ প্রদানসহ দেশ হতে নিরক্ষরতা দূরীকরণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে । ‘সবার জন্য শিক্ষা’ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফোরামে অঙ্গীকারাবদ্ধ । এছাড়া বর্তমান সরকার তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দুর করবে । বিবিএস-২০১৭ এর প্রতিবেদন অনুসারে দেশের ১৫ বছর এবং তদুর্ধ্ব বয়সের নারী-পুরুষের বর্তমান হার ৭২.৩০% । অর্থাৎ  এ বয়সের নারী-পুরুষের  বর্তমান নিরক্ষরতার হার ২৭% এর উপরে । উপানুষ্ঠানিক শিক্ষ (ঘঋঊ) ম্যাপিং রিপোুির্ট-২০০৯ অনুসারে দেশে ১১-৪৫ বছর বয়সী নিরক্ষর নার-পুরুষের সংখ্যা ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ । নিরক্ষরতার কারণে এই বিপুল জনগোষ্ঠী উন্নয়ন কার্যকওমে সক্রিয়অংশ গ্রহণ করতে পারছে না । এই বিপুল জনগোষ্ঠির নিরক্ষরতা দুরী করণসহ তাদেরকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যৈ সরকার মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প(৬৪ জেলা) গ্রহণ করে।  এই প্রকল্পের আওতায় ১ম পর্যায়ে ভূরুঙ্গামারী ও চিলমারী উপজেলায় ২টি বেসরকারী সংস্থা কর্তৃক ৬০০ টি শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ৩৬০০০ জন নর-নারীকে মৌলিক সাক্ষরতা প্রদান করা হয়েছে । ২য় পর্যায়ে ৩টি বেসরকারী সংস্থা কর্তৃক নাগেশ্চরী,রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলায় ১০০০টি শিখন কেন্দ্রের ৬০০০০ জন নিরক্ষর নর-নারীকে মজিব বর্ষ উপলক্ষে মৌীরক সাক্ষরতা প্রকল্প কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে । 

 

            খ) আউট  অব স্কুল চিলড্রেন ঃ সাবশকম্পোনেন্ট ২.৫ বিদ্যালয় বহিভর্’ত শিশুদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম । 
প্রাথমিক শিক্ষায় অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জনের পরেও দারিদ্র,অনগ্রসরতা,শিশুশ্রম, ভৌগ?িলক প্রতবদ্ধকতা ইত্যাদি কারণে এখনও অনেক শিশু বিদ্যালয় বহিভর্’ত রয়েছে । বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ঝরে পড়ার হার ১৮.৮% (এপিএসসি-২০১৮) এবং বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ার হার প্রায় ২% । প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া ও বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ার হার অনুসারে সমগ্র বাংলাদেশে একনও বিদ্যালয় বহির্ভুত ৮-১৪ বছর বয়সী প্রায় ৩০ লক্ষ শিশু রয়েছে । বিদ্যালয়গামী সকল শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, কিন্তু তাদের অভিভাবকদের দারিদ্রতা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থা,শিশুশ্রম,ভৌগোলিক  প্রতিবদ্ধকতা ইত্যাদির কারণে উল্লেযোগ্য সংখ্যক শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে । আউট অব স্কুল চিলড্রেন কর্মূচির এসব বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদেরকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করবে এবং তাদেরকে শিক্ষার মূল থারায় সম্পৃক্ত করতে সহায়তা করবে। পিইডিপি-৪ এর সাব-কম্পোনেন্ট ২.৫ এর আওতায় ৮-১৪ বছর বয়সী বিদ্যালয় বহির্ভূত ১০ লক্ষ শিশুকে উপানুষ্ঠিানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাথ্যমে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ।

 কুড়িগ্রাম জেলায় ৬টি উপজেলার ( ভ’রুঙাগামারী,রাজারহাট,উলিপুর,চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর ) লিড এনজিও ছিন্নমুকুল বাংলাদেশ সংস্থা ও ৩টি পার্টনার এনজির মাধ্যমে কার্যক্রম বাস্তবায়ন চলমান।  উল্লেীখত ৬টি উপজেলায় ৪২০টি শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ১২৬০০ জন শিশুর শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন  কর্মসূচি-৪ (চঊউচ -৪) এর ২.৫ ঙঁঃ ড়ভ ঝপযড়ড়ষ ঈযরষফৎবহ সাব-কম্পোনেন্ট এর আওতায় ৮-১৪ বছর বয়সী ঝরে পড়া ও  কোন দিনও বিদ্যালয়ে যায়নি এমন শিশুদের উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ৪২০টি শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ১২৬০০ জন শিশুর শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে ।